Wellcome to National Portal

“আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার”

** মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আগামী ২২ মার্চ ২০২৩ তারিখে ৪র্থ পর্যায়ে ৩৯,৩৬৫টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ** মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে ২৩৭,৮৩১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক গৃহ বরাদ্দ **

Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st জুন ২০১৬

শ্যামল ছায়া

           

এ প্রকল্পের মাধ্যমে একটি গৃহহীন দুঃস্থ অসহায় পরিবারকে শুধুমাত্র আশ্রয় দেয়া হয় না । তাদেরকে আয়বর্ধক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতির মূলধারায় সম্পৃক্ত করার মধ্য দিয়ে সামাজিক মর্যাদাও দেয়া হয়।

 

সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে চরম দারিদ্র সীমার নীচে মোট জনসংখ্যার ৮-৯% মানুষ বাস করে। তারা প্রতিদিনের আয় থেকে প্রতিদিনের মৌলিক চাহিদা ( অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা) পূরণ করতেই হিমশিম খেয়ে যায়। সুতরাং তাদের পক্ষে বিলাসিতা বা সঞ্চয় করা সম্ভভ নয়। ফলে কোন উন্নয়ন পরিকল্পনার স্বপ্নও তারা দেখতে পারে না। এরূপ অবস্থায় প্রতি বছরই কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে (ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, নদী ভাঙন ইত্যাদি) এ দেশ আক্রান্ত হচ্ছে। আর এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে ঐ সকল দরিদ্র ব্যাক্তির আয়ের উপর। বিশেষ করে তাদের বসবাসের ঘরবাড়ির মারাত্মক ক্ষতি হয়, যা তাদের পক্ষে মেরামত করা অত্যন্ত কষ্টকর। এ যেন “মরার উপর খঁড়ার ঘা”। কেননা তাদের ঘরবাড়ী অত্যন্ত দূর্বল ও সামান্য আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তাদেরকে দৈনিক আয়ের একটি অংশ প্রায় প্রতি বছরই ব্যয় করতে হয় ঘর নির্মাণ বা নতুন করে ঘর বাঁধার জন্য। সীমিত আয়ের দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করাই যেখানে চ্যালেঞ্জ সেখানে ঘর নির্মাণের জন্য অর্থ ব্যয়ের ফলে এ অংশটি দারিদ্র্য সীমার উপর উঠতে পারে না। সে জন্য একটি স্থায়ী টেকসই ঘর একটি পরিবারকে দারিদ্র্য সীমার উপরে উঠতে দারুন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। কেননা টেকসই ঘর থাকলে তাকে বাসস্থানের জন্য কোন অর্থ ব্যয় করতে হয় না, ফলে তিনি সঞ্চয় করতে পারেন।